ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের প্রতিদিনের খাধ্যে প্রাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিনের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ ।
বানারীপাড়া উপজেলায় মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ঃ
# মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারন জনগনকে মাছ চাষে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে ।
# ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সন্ধ্যা নদী ও বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।
# উন্মুক্ত জলাশয়ে কার্প ও দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তি ।
# বিল নার্সারী স্থাপন ।
# দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন করা হচ্ছে।
# কার্প , মনোসেক্স তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান ।
# মাছের আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর, দিঘী, খাল ইত্যাদি পুনঃখনন ।
# মৎস্য চাষীদের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করণের জন্য মৎস্য প্রদর্শনী খামার স্থাপন ।
# ইউনিয়ন পযায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য প্রদর্শনী স্থাপন, সিবিজি গঠন, মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রতি ইউনিয়নে ১(এক) জন করে লিফ (স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি ) নিয়োগ ।
# মৎস্যচাষ ও মৎস্য সম্পদ ব্যবহারে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে । গুণগত মান সম্পন্ন মাছের পোনা প্রাপ্তি ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্য হ্যাচারী আইন ও মৎস্য খাদ্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে ।
# ফরমালিনমুক্ত ও নিরাপদ মাছ প্রাপ্তির জন্য মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে ।
# জেলেদের অধিকার নিশ্চিত করণের জন্য প্রকৃত জেলেদের আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে ।
# সার্বিকভাবে বানারীপাড়া উপজেলায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য চাষী ও বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণ, অফিসে পরামর্শ প্রদান ও মাছ চাষীদের খামার পরিদর্শন করে কারিগরী সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস